খিদের যন্ত্রণা এবং খাবার যা গর্ভাবস্থায়  এড়িয়ে চলতে হবে

0
467

This post is also available in: English (ইংরেজি) हिन्दी (হিন্দি) বাংলা

আপনি যখন গর্ভবতী হবেন – তখন আপনার বার বার খিদে পাবে। কিন্তু আপনি যে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে করছে, তার কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনি আপনার ট্র্যাক থেমে যাবে এই ভেবে যে, আপনি যা খেতে চান, তা আপনি খেতে পারবেন কি না।

এটা কি আমার বাচ্চার জন্য ভালো আদতে ভালো হবে?” চিন্তায় পরে যাবেন।

এটা কি আমাকে অপ্রয়োজনীয় ওজন বৃদ্ধি করবে?”

গর্ভাবস্থায় কেন বার বার খিদে পায় ?

  1. গর্ভাবস্থায় ক্ষুধার যন্ত্রণা প্রধানত ঘটে কারণ ক্রমবর্ধমান শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য পুষ্টির প্রয়োজন হয় এবং আপনাদের শিশুকে তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য আপনাদের শরীরের পুষ্টির প্রয়োজন হয়
  2. বিভিন্ন রকম খাবারের জন্য আকাঙ্ক্ষা সাধারণত আপনাদের ডায়েটের মূল উপাদানগুলির ঘাটতির কারণে হয়
  3. জাঙ্ক ফুডের প্রতি লোভের কারণ হল ভুল ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়
  4. জাঙ্ক ফুডের প্রতি আসক্তির কারণ হরমোনের পরিবর্তন, যার ফলে ডোপামিনের মাত্রা কমে যায়

গর্ভাবস্থায় ক্ষুধা নিবারণ করার উপায়গুলি কী?

  1. আপনারা যখন গর্ভবতী হন তখন খিদে মেটানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর জলখাবার এর পরিকল্পনা করুন
  2. রিফাইন্ড ময়দা বা ময়দা ভিত্তিক খাবারের পরিবর্তে গোটা গম, রাগি এবং অন্যান্য বাজরাগুলির মতো জটিল কার্বোহাইড্রেট খান
  3. প্রতিটি খাবারে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খবার খান
  4. ভিটামিন বা খনিজ ঘাটতি এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমানে ফল, ড্ৰাই ফ্রুটস, বাদাম এবং শাকসবজি খান।
  5. পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
  6. চিনিযুক্ত খাবারগুলি এবং ড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলুন।

 কর্মরত মহিলাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য টিপস

  1. সকালে কাজে বের হওয়ার আগে দুটি খাবার খান। ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে ড্ৰাই ফ্রুটস  বাদাম এবং কিসমিস  এর মতো পুষ্টিকর খাবার খান (বিছানায়)। তারপরে আপনারা কাজে যাওয়ার আগে দানাশস্য বা বাজরা দিয়ে তৈরি একটি পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট খান।
  2. যদি আপনার যাত্রাপথ দীর্ঘ  হয় –  তাহলে আপনাদের কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানোর সাথে সাথেই কিছু খাবার খান। এটি তাড়াতাড়ি উপলব্ধ হয় এমন কিছু হতে হবে – যেমন ডাবের জল বা বাদাম এবং বীজ দিয়ে তৈরি একটি পুষ্টিকর লাড্ডু / কুকিজ / মাফিন  ইত্যাদি হতে পারে।
  3. স্‌বাস্থ্যকর দুপুরের খাবার খান। বাজরা ও সবজির খিচুড়ি তৈরি করতে পারেন, এতে একচামচ ঘি মিশিয়ে -দই দিয়ে খেতে পারেন। এটি রান্না করা সহজ এবং এটি প্রি  এবং প্রোবায়োটিক এর একটি দুর্দান্ত সংমিশ্রণ।
  4. বাড়ি ফেরা বা রওনা হওয়ার আগে – একটি মৌসুমী ফল খান। যদি যাত্রাপথ সত্যিই দীর্ঘ হয়, তবে পথে ডোসা, ইডলি বা ঢোকলার মতো জলখাবার খেতে পারেন।

দিনের বেলা ঘন ঘন, সুষম খাবার খাওয়া খিদে নিবারণ করতে সাহায্য করে।

গর্ভধারণের সময় যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত 

আপনারা খাবারের পরিকল্পনা কর যাতে আপনাদের নিম্নলিখিত খাবার না খেতে হয়  –

  1. পুরোপুরি রান্না না করা মাংস এবং সামুদ্রিক খাবার এড়িয়ে চলুন।
  2. কাঁচা সবজি এবং স্প্রাউট খাওয়া এড়িয়ে চলুন
  3. আপনারা যদি ডিম খান – পুরোপুরি সেদ্ধ বা পুরোপুরি ভাজা ডিম খেতে পারেন
  4. শুধুমাত্র ইউএইচটি দুধ পান করুন
  5. ফ্রেশ জুস এড়িয়ে চলুন যদিআপনি সেটি নিজে থেকে প্রস্তুত না করে থাকেন ।

লিখেছেন

ডাঃ দেবমিতা দত্ত এমবিবিএস, এমডি

ডাঃ দেবমিতা দত্ত একজন অনুশীলনকারী ডাক্তার, একজন প্যারেন্টিং পরামর্শদাতা এবং WPA whatparentsask.com ওয়েবসাইট এর প্রতিষ্ঠাতা – তিনি ব্যাঙ্গালোরে বসবাস করন এবং স্কুল এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলিতে প্যারেন্টিং ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন। তিনি নতুন বাবা-মায়ের জন্য বাবা-মা এবং শিশু যত্নের ক্লাস, প্রসবপূর্ব ক্লাসও পরিচালনা করেন।

This post is also available in: English (ইংরেজি) हिन्दी (হিন্দি) বাংলা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here