This post is also available in: English (ইংরেজি) हिन्दी (হিন্দি) বাংলা
প্রত্যেক নতুন মা তার বাচ্চার সাথে কথা বলতে ভালবাসে। যদিও আশেপাশের কারোর কাছে (আপনার বাচ্চা সহ) এর কোন মানে হয় না কিন্তু তার কাছে এটা অর্থবহ! হ্যাঁ! আপনি ঠিকই পড়েছেন! আপনার নবজাতকের সাথে খেলার সময়টি শুধু দুর্দান্ত মজাই নয়, আপনার শিশুর জ্ঞানেন্দ্রিয় বিকাশে সাহায্য করার একটি দুর্দান্ত সুযোগও দেয়। আপনার বাচ্চার প্রথম বছরে, তার জ্ঞানেন্দ্রিয় ব্যবস্থা বিকশিত হয়। এমন কিছু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য খেলার ক্রিয়াকলাপ আছে যা তার ইন্দ্রিয়কে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে এবং আপনার বাচ্চাকে নিজে থেকেই কোনো জিনিসকে অনুসন্ধান করতে উৎসাহিত করে। সুতরাং, এখানে কিছু সহজ কিন্তু শক্তিশালী খেলার ধারণা দেওয়া হল, যা আপনার বাচ্চার পেশী, মোটর দক্ষতা এবং রং, স্থান ও গভীরতা সম্পর্কে সচেতনতা বিকাশে সাহায্য করবে। এবং অবশ্যই এটি আপনার এবং আপনার সবচেয়ে মূল্যবান উপহার: আপনার বাচ্চা-এর মধ্যে বন্ধনকে আরও মজবুত করবে!
- আপনার বাচ্চার উপর নজর কখনও হারাবেন না।
যদিও আপনার নবজাতকের দৃষ্টিশক্তি প্রথম কয়েক মাসে তাকে 12 ইঞ্চির বেশি দেখতে দেয় না, তবুও সে আপনার মুখের ছোট ছোট খুঁটিনাটি বিষয়গুলি দেখতে পারে। সুতরাং সত্যই মুখের ভাব প্রকাশ করুন – জোরে জোরে হাসুন, নাক কুঁচকে নিন, চোখ বড় করে দেখুন – এবং আপনার বাচ্চাকে এই সমস্ত মুখের ভাবগুলি দেখতে দিন এবং আত্মস্থ করতে নিতে দিন। এটি সামাজিক দক্ষতা বিকাশেও সাহায্য করে। এই প্রারম্ভিক সময়ে মাথা-চোখের সমন্বয়েরও বিকাশ ঘটে। সুতরাং তাঁর দৃষ্টিক্ষেত্র জুড়ে কোনও খেলনা, কোনও রঙিন বস্তু বা উজ্জ্বল দুপট্টা ঘোরালে তা তাকে অনেকটাই সাহায্য করবে। জ্ঞানীয় বিকাশের জন্য, পিকাবু খেলুন এবং আপনার বাচ্চাকে হাসতে দেখুন! এছাড়া, আপনার বাচ্চাকে আয়নায় তার নিজের দিকে তাকাতে দিন। (আসলে, জীবনের পরে দুর্দান্ত সেলফি তোলার প্রশিক্ষণের জন্য শীঘ্রই শুরু করা প্রয়োজন, সত্যিই শীঘ্রই!)
2. কাঠ, খেলনা স্পর্শ করান বা ঘর্ঘর শব্দ করুন।
পঞ্চম মাসে, আপনার বাচ্চা বিভিন্ন জিনিস নিতে যাওয়া শুরু করে। জিনিসগুলিকে এমনভাবে রাখবেন যাতে সে দেখতে পায় কিন্তু সেইগুলি তার সামান্য নাগালের বাইরে থাকে, এটি করার সবচেয়ে ভাল সময় হল এই সময়। এর জন্য সে সেইগুলির দিকে প্রসারিত হবে এবং গড়িয়ে যাবে। আপনি আপনার বাচ্চাকে একটি বেলুনে লাথি দেওয়ার মাধ্যমে সহজেই চোখ-পায়ের সমন্বয়ের বিকাশেও সাহায্য করতে পারেন। তার প্রথম তিন মাসে যখন তার চলাফেরা খুব কম করে, তখন আপনার বাচ্চাকে সুড়সুড়ি দিন এবং আলতোভাবে ও ধীরে ধীরে গড়িয়ে দিন, যাতে তার স্পর্শের অনুভূতির বিকাশ ঘটে।
3. ভাল গন্ধ!
আপনার ছোট্ট বাচ্চাকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক গন্ধের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। তার নাকের কাছে একটি খোসা ছাড়ানো কমলালেবু বা কিছু বেরি, মিষ্টি লেবু, আনারস, আম বা এমনকি কিছু সবজি যেমন ক্যাপসিকাম নিয়ে আসুন। তবে দয়া করে খেয়াল রাখবেন, সবজি ও ফল যেন হালকা গন্ধের হয়, বেশি তীব্র না হয়।
4. প্রতিক্রিয়া রিপ্লে!
আপনার বাচ্চার মধ্যে ভালো যোগাযগ দক্ষতা গড়ে তুলতে চান? তার সাথে কথা বলার পর নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার বাচ্চার হাসি, ঘর্ঘর শব্দ করা বা এমনকি হাসার জন্য অপেক্ষা করবেন। এবং যখন সে হাসবে, তখন আরও একটু হেসে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। এটি ভাষার বিকাশ এবং বোধগম্যতায়ও সাহায্য করে। বাচ্চার সাথে কথা বললে ও হাসলে তা অক্সিটোসিন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে, যা হল মানুষের আনন্দদায়ক হরমোন। এছাড়াও, কিছু ঝাঁকিয়ে খড়খড় শব্দ করুন এবং পৃথক পৃথক শব্দ করুন যেমন স্ন্যাপ করা, চামচ এবং গ্লাসের ঠুং ঠাং শব্দ, কিছু বাদ্যযন্ত্র বাজানো ইত্যাদি।
সুতরাং, এখন যখন আপনি জানেন যে খেলার সময়টিও আপনার বাচ্চার বৃদ্ধির সময় – তাই আনন্দে খেলুন!
This post is also available in: English (ইংরেজি) हिन्दी (হিন্দি) বাংলা